মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট:
পবিত্র ঈদ উল ফিতরের হাত খরচের টাকা জোগার করতে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিস ক্যাম্পাসের সরকারি ৮/১০টি ৩৫/৪০বছরের পুরনো মেহগনি গাছ গোপনে কেটে বিক্রি করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ঠিকাদার।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে লালমনিরহাটে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। এর মধ্যে পবিত্র ঈদ উল ফিতর চলে আসে। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের প্রতিবছর অফিস খোলা থাকলে ঠিকাদারগণ বিল নিয়ে এসে বকশিস দেয়। এ বছর তা পায়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ। তাই জনৈক ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে লালমনিরহাট জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্যাম্পাসে থাকা ৩৫/৪০ বছরের পুরনো ৮/১০টি মেহগনি গাছ প্রায় দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে।
আরও জানা যায়, অফিস ক্যাম্পাসে পানি শোধনাগারের একটি বহুতল ব্রিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে। এই বিল্ডিংয়ের ঠিকাদারের সাথে আতাত করে সরকারি জীবিত গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। গাছগুলো প্রায় দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের আগে সেই টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কয়েক কর্মচারি এই টাকার ভাগ পায়নি। তারা বিষয়টি ফাঁস করে দেয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বিষয়টি নিয়ে মাঠে তদন্ত করতে নেমেছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তার অফিস ক্যাম্পাসে মেহগনির গাছসহ কোন গাছ ছিল না। তাই কেটে নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। কিন্তু তাকে গাছ কেটে নেয়ার ছবির কথা বললে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। সেই সাথে ফোন বন্ধ করে রাখেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর সাংবাদিকদের জানান, সরকারি দপ্তরের ক্যাম্পাসের গাছ রাষ্ট্রীয় সম্পক্তি এ গাছ কাটতে পারে না। গাছ কাটতে হলে কমিটির মাধ্যমে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে কাটতে হবে। এটা অন্যায় করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।